বেসরকারী কোম্পানী কর্তৃক বীমা করানোর জন্য সাতটি বীমাযোগ্যতার মূলনীতি মেনে চলতে হয়ঃ
১ একই ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে এমন অনেক উপাদানের অস্তিত্বঃ যেহেতু একটি বীমা কোম্পানি ক্ষয়ক্ষতির ক্ষতিপূরণ দিয়ে থাকে তাই বাস্তবে সেই ধরনের ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে এমন উপাদান প্রচুর পরিমাণে বিদ্যমান থাকতে হবে। যেমনঃ 'লয়েডস অফ লন্ডন' জনপ্রিয় শিল্পী এবং খেলোয়াড়দের জীবন এবং তাদের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের বীমা করানোর জন্য বিখ্যাত। এখানে লয়েডস অফ লন্ডন যেসব উপাদানের বীমা করায় সেগুলো বাস্তব জীবনে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যমান এবং এই উপাদানগুলো একই ধরনের না হলেও এগুলোকে একই শ্রেণিতে ফেলা যায়।
২ নির্দিষ্ট ক্ষয়ক্ষতিঃ বোঝাতে বীমা কোম্পানি শুধুমাত্র একটি বা একাধিক নির্দিষ্ট ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য চুক্তিবদ্ধ থাকবে। যেমনঃ একটি গাড়ির যদি শুধু অগ্নি বীমা করা থাকে তাহলে বীমা কোম্পানি গাড়িটি হারিয়ে গেলে কোনো ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য থাকবে না।
৩ দূর্ঘটনাজনিত ক্ষতিঃ অর্থাৎ যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হবে তা অবশ্যই নিয়ন্ত্রনের বাইরে থাকবে। যদি গাফিলতির কারণে কোনো ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয় তাহলে এর ক্ষতিপূরণ নাও পাওয়া যেতে পারে।
৪ বৃহৎ আকারের ক্ষতিঃ ক্ষতির পরিমাণ অবশ্যই বীমাকৃত ব্যাক্তির সাপেক্ষে যুক্তিযুক্ত হতে হবে।
৫ প্রিমিয়াম অবশ্যই সাশ্রয়ী হতে হবেঃ সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যতই ব্যাপক হোক না কেনো, বীমা প্রিমিয়াম অবশ্যই বীমা গ্রহণকারীর নাগালের মধ্যে থাকতে হবে।
৬ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অবশ্যই পরিমানযোগ্য হতে হবেঃ যেহেতু সবধরনের ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়া যায় না এবং বীমা কোম্পানি শুধুমাত্র টাকার অঙ্কে ক্ষতিপূরণ দিতে পারে তাই সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি টাকার অঙ্কে পরিমাপ করতে হবে।
৭ প্রাকৃতিক মহাদূর্যোগের ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ সীমিত হবেঃ যেমনঃ বন্যা বা ভূমিকম্পের ফলে যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়, বীমা কোম্পানিগুলো এই পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দেওয়া থেকে বিরত থাকে কারণ এত ব্যাপক পরিমাণ ক্ষতিপূরণ কোনো একক বীমা কোম্পানির পক্ষে দেওয়া সম্ভব হয় না।
১ চূড়ান্ত সদ্বিশ্বাসের নীতিঃ
২ বীমাযোগ্য স্বার্থের নীতিঃ
৩ ক্ষতিপূরণের নীতিঃ
৪ স্থলাভিষিক্তকরন নীতিঃ
৫ অংশগ্রহণের নীতিঃ
৬ ক্ষতির অব্যাহতিকরন নীতিঃ
৭ সেবা নীতিঃ
৮ দ্রুত দাবি পুরনের নীতিঃ
৯ সেলামী নির্ধারন নীতিঃ
জীবন বীমা হল মানুষের মৃত্যুজনিত ঝুঁকি, ক্ষতি, বিপদ হস্তান্তরে বা এড়ানোর একটি কৌশল। বীমাগ্রহীতার মৃত্যু অথবা বার্ধক্য অবস্থায় বীমাগ্রহীতা অথবা তার পরিবার পরিজনদের আর্থিক ক্ষতি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আধুনিক যুগে জীবন বীমা একটি কার্যকর মাধ্যমে হিসেবে কাজ করে।[২] [৩]
বীমাগ্রহীতার নির্দিষ্ট হারে প্রিমিয়াম পরিশোধের বিনিময়ে বীমাকারী প্রতিষ্ঠান বা বীমা কোম্পানীর বা মেয়াদ শেষে একটি নির্দিষ্ট সময় পরে অথবা তার মৃত্যুর পর পূর্ব নির্ধারিত পরিমান অর্থ পরিশোধের যে প্রতিশ্রুতি দেয় এ চুক্তিগত ব্যবস্থাকে জীবন বীমা বলা হয়। সুতরাং জীবন বীমা হলো বীমাগ্রহীতা এবং বীমাকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সম্পাদিত একটি আধুনিক চুক্তি যাতে সুনির্দিষ্ট প্রিমিয়াম পরিশোধের প্রতিদান হিসেবে বীমাকারী প্রতিষ্ঠান বীমাগ্রহীতাকে অথবা তার উত্তরাধিকারীদের বা তার মনোনীত ব্যক্তিকে তার মৃত্যুর পর অথবা একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে নির্ধারিত পরিমাণ অর্থ পরিশোধের প্রতিশ্রুতি প্রদান করে।[৪]
প্রথম অধ্যায়
প্রারম্ভিক সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন
সংজ্ঞা
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস